Tuesday, April 25, 2017

সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০ টি কথা যা আপনি আপনার সন্তানকে বলতে পারেন


প্রভাববিস্তারি আলাপচারিতা পিতামাতাদের সাহায্য করে তাদের সন্তানদের সাথে অর্থপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক স্থাপন করতে। এই দশটি প্রভাবশালী বক্তব্য আপনাদের চলার পথ সুগম করতে সাহায্য করবে।
১। আমি তোমাকে পছন্দ করি- এই বক্তব্যটি ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’র চেয়ে আলাদা।
এটি বোঝায় যে- আমি তোমাকে মানুষ হিসেবে পছন্দ করি।
২। তুমি খুব দ্রুত শেখো- ‘শেখা’ জিনিসটা প্রাকৃতিক। আর ছোটো বাচ্চারা এতে দুর্দান্ত। শেখা তাদের কাছে খেলার মতো। আপনি জীবনের শুরুতে যা বলবেন সেটিই তার পরবর্তী জীবনে গিয়ে কাজে লাগবে, যখন ‘শেখা’ বিষয়টা কঠিন ও বিব্রতকর হয়ে পড়বে।
৩। ধন্যবাদ- সাধারণ সৌজন্যবোধ ভদ্রতার লক্ষণ। সামাজিক দক্ষতা জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এবং সেটার প্রশিক্ষন জীবনের শুরুতেই নিতে হয়।


৪। কেমন হয় যদি আমরা এই বিষয়ে সম্মত হই- এটি হচ্ছে মূলত পারিবারিক কিছু বিষয়ে আগে থেকেই সম্মতি গ্রহণ করে
রাখা। এধরণের পারস্পারিক সম্মতি সাধারণ সমস্যা তো হতেই দেয় না পাশাপাশি যখন সমস্যা হয় তখন কিভাবে সেটার সমাধান করা যায় তারও একটা কাঠামো দাঁড় করিয়ে ফেলে।
৫। আরও বলো- এটি হচ্ছে সন্তানদের প্রতি চাওয়া যেন তারা তাদের চিন্তা-ভাবনা, আবেগ ও মত পিতামাতার সাথে ভাগাভাগি করে। এর মাঝে শোনার ক্ষমতায়নও প্রতিষ্ঠা হয় যার মাধ্যমে এটিও বোঝা যায় যে হ্যাঁ আপনি তাদের কথা ভাবেন।
৬। চলো পড়ি- সন্তানদের বই পড়ে শোনানোর অনেকগুলো সুবিধা আছে। এটি তাদের জীবনে সফল হবার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা তৈরি করে। এটি আপনাদের সম্পর্ককে সমৃদ্ধ করে এবং শেখার প্রতি ভালবাসার জন্ম দেয়। এবং বই আপনার সন্তানের জন্য একটা দরজার মতো খুলে দেয়- যেখানে মানুষ, স্থান আর ধারণার সাথে পরিচিত হওয়া যায়।
৭। আমরা সবাই ভুল করি- সমস্যা থাকবেই। কেউই নিখুঁত নয়। সমস্যার মোকাবেলা করা এবং ভুল থেকে শেখা জীবনের সবচেয়ে শিক্ষণীয় জিনিস। যখন এমন কোন সময় আসবে যে আপনি নিজেই নিজের কাছে অপরাধি তখন আপনারই দায়িত্ব যে কিভাবে ভুলের দায় নিজের কাঁধে নিয়ে সামনে এগুবেন। তখন আপনার সন্তানেরাও আপনার আশা পূরণ না করতে পারলে অপরাধবোধে ভুগবে, এবং ভুল স্বীকার করে সামনে আগাবে। দুই পক্ষ দুই পক্ষকে একটু স্পেস দেয়াটা আসলে একটা উপহার।
৮। আমি দুঃখিত- এটি এমন বাক্য যেটি বলা শিখতে হয়। আরও ভালো হয় যদি ভুল স্বীকার করতে হবে এমন কিছু করার আগে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা।
৯। তোমার কি মনে হয়- সন্তানদের কাছ থেকে পারিবারিক বিষয়গুলোতে মতামত জানতে চাওয়া তাদের সিদ্ধান্ত নেয়া দক্ষতার অনুশীলন ঘটায় ও স্বেচ্ছায় দায়িত্ব নিতে শেখায়। নিজে কি চাই সেটার প্রকাশ ও সামনের জন কি চায় সেটা জানতে চাওয়ার দক্ষতা জীবনের চলার পথে আপনার সন্তানের অনেক কাজে লাগবে।
১০। হ্যাঁ- যদিও আমি মনে করি ‘না’ বলা দরকার পড়ে কিছু সময়ে। তবুও আমার মনে হয় পিতামাতারা অপেক্ষায় থাকে কখন সন্তানকে ‘না’ বলা যায়। যদি আপনি আপনার পরিবারে ‘হ্যাঁ’ বলার সংস্কৃতি চালু করেন তাহলে দেখবেন ‘না’ প্রয়োজন খুব কম সময়েই পড়বে।
ভাবুনতো আপনি কি আপনার সন্তানকে এই কথা গুলো বলছেন কি না?
প্যারেন্টিং নিয়ে যদি আরো জানতে চান তবে এই লিঙ্ক ঘুরে আসতে পারেন

No comments:

Post a Comment