Monday, April 29, 2019


শিশুর জন্য কতক্ষণ স্ক্রিন দেখা নিরাপদ?



কর্মব্যস্ততার চাপে বেশির ভাগ বাবা-মাই তার সন্তানদের দেওয়ার মতো সময় পান না। বর্তমান সময়ে শিশুদের খেলাধূলারও তেমন সুযোগ নেই। এ কারণে তাদের শৈশব কাটছে স্মার্টফোন, টিভি বা কম্পিউটারের সঙ্গে। 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোন, টিভি বা কম্পিউটারের প্রতি শিশুদের অতিরিক্ত আকর্ষণ তার শারীরিক বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই তথ্য অনেক বাবা-মাই জানেন। কিন্তু ঠিক কতক্ষণ স্মার্টফোন, টিভি বা কম্পিউটারের সঙ্গে সময় কাটানো শিশুর জন্য নিরাপদ তা অনেকেই জানেন না। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর (WHO) একটি নির্দেশিকায় জানা গেল এই তথ্য। 
ওই নির্দেশিকায় হু জানিয়েছে, শিশু যত বেশি সময় টিভি, স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের সঙ্গে কাটাবে, ততই তার মানসিক, শারীরিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, শিশুর মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য টিভির পর্দা নয়, খেলার মাঠেই উপযুক্ত। 
হু জানিয়েছে, ২ থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুদের যত বেশি করে শারীরিক কার্যকলাপ, দৌড়াদৌড়ি, খেলাধূলায় নিযুক্ত করা যায়, ততই তার মানসিক ও শারীরিক বিকাশ উন্নত হয়। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা দিনে বড়জোড় ১ ঘণ্টা টিভি বা কম্পিউটারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে। এর বেশি হলেই তাদের বিকাশ বাঁধাগ্রস্ত হবে। সূত্র : জি নিউজ

Tuesday, April 25, 2017

সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০ টি কথা যা আপনি আপনার সন্তানকে বলতে পারেন


প্রভাববিস্তারি আলাপচারিতা পিতামাতাদের সাহায্য করে তাদের সন্তানদের সাথে অর্থপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক স্থাপন করতে। এই দশটি প্রভাবশালী বক্তব্য আপনাদের চলার পথ সুগম করতে সাহায্য করবে।
১। আমি তোমাকে পছন্দ করি- এই বক্তব্যটি ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’র চেয়ে আলাদা।
এটি বোঝায় যে- আমি তোমাকে মানুষ হিসেবে পছন্দ করি।
২। তুমি খুব দ্রুত শেখো- ‘শেখা’ জিনিসটা প্রাকৃতিক। আর ছোটো বাচ্চারা এতে দুর্দান্ত। শেখা তাদের কাছে খেলার মতো। আপনি জীবনের শুরুতে যা বলবেন সেটিই তার পরবর্তী জীবনে গিয়ে কাজে লাগবে, যখন ‘শেখা’ বিষয়টা কঠিন ও বিব্রতকর হয়ে পড়বে।
৩। ধন্যবাদ- সাধারণ সৌজন্যবোধ ভদ্রতার লক্ষণ। সামাজিক দক্ষতা জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এবং সেটার প্রশিক্ষন জীবনের শুরুতেই নিতে হয়।

Sunday, November 20, 2016

শিশুদেরকে বাহু ধরে ঘোরানো ঠিক নয়

যে কারণে শিশুদেরকে বাহু ধরে ঘোরানো একটি ক্ষতিহীন তামাশা বলেই মনে হতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এর ফলে শিশুদের মারাত্মক বেদনাদায়ক জখম হতে পারে।
এক থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের পায়ের লিগামেন্ট এবং হাঁড়গুলো খুবই দূর্বল হয়। এ বয়সী শিশুদের হাতের কনুইয়ের জোড়াটি অনেক নরম থাকে। ফলে তাদেরকে বাহু ধরে ঘুরালে তাদের কনু্ইয়ের লিগামেন্টগুলো সামান্য বলপ্রয়োগেই স্থানচ্যুত হতে বা ছিঁড়ে যেতে পারে
এছাড়া হাত ধরে টেনে কোলে তুললে, দ্রুততার সঙ্গে তাদের বাহু আঁকড়ে ধরতে গেলে, বাহু ধরে ঝাঁকালে বা বিছানার একপাশ থেকে আরেক পাশে টেনে নিলেও এ ধরনের জখম হতে পারে।